বহিষ্কারের পর যা বললেন আখতারুজ্জামান
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এখনো তাকে এ ব্যাপারে অফিশিয়ালি দল থেকে কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক এই সভাপতি।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানের কাছে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেলা ১২টার দিকে বিএনপির একজন সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী আমাকে ফোন করে বললেন, আপনাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে শুনলাম। আমি তাকে বললাম, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমি এই মুহূর্তে গ্রামে নতুন করে টমেটোর চারা লাগাচ্ছি। পত্রিকা পড়ার সুযোগ হয়নি।’
সম্পর্কিত খবর
এর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থীতে জড়িত থাকার প্রেক্ষিতে বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৫ এর গ ধারা মোতাবেক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
আখতারুজ্জামান বলেন, খবরটা শুনে শুরুতে আমার হাসি পেল। পরে ভেবে ভালোই লাগলো যে এখনও বিএনপিতে আমার গুরুত্ব ছিল! তবে কষ্টও পেলাম। কেন কষ্ট পেলাম তা আর না বলি।
তিনি বলেন, আমি দেশমাতা খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করি এবং সেই সঙ্গে তারেক রহমানের সফলতা কামনা করি। আমি অনেক দিন থেকেই জানি তারেক রহমানের সঙ্গে আমার রাশি বিপরীতমুখী।’
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, তারেক রহমান কখনই আমার মতো করে ভাবেন না। আমি পরাজিত হলে দারুণভাবে খুশি হবো। কারণ তাতে সম্ভবত তারেক রহমানেরই জয় হবে। আমি এখন আমার মতো ভাববো, লিখব এবং বলব।’ তার বহিষ্কারে যারা খুশি হয়েছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে বিএনপিকে লজ্জাহীন এবং ব্যর্থ দল বলে উল্লেখ করার কারণেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের বিএনপি প্রার্থী ছিলেন। ভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের কাছে তিনি হেরে যান।
পূর্বপশ্চিম- এনই